জালালাবাদ বার্তা ডেস্কঃ 

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি গণঅধিকার পরিষদে ফের যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। যদিও আসিফ মাহমুদ এখনো খোলাসা করেননি তিনি কোন দলে যোগ দিচ্ছেন।

রাশেদ খান বলেন, গণঅধিকার পরিষদে আসতে চান আসিফ মাহমুদ। আগেও তিনি গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় নেতৃত্ব পর্যায়ে তাকে ফেরানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনাও চলছে, তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আসিফ মাহমুদকে সেক্রেটারির পদ ছাড়তে প্রস্তুত কি না, এমন প্রশ্নে রাশেদ খান বলেন, আসিফ মাহমুদকে অবশ্যই সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে। তিনি আগেও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলটিতে আসিফের চাহিদার পদ ছিল মুখ্য সমন্বয়ক। কিন্তু বর্তমানে সেই পদে থাকা নাসিরদ্দীন পাটোয়ারী পদটি ছাড়তে রাজী নন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে এনসিপিতে যাচ্ছেন না আসিফ মাহমুদ। বুধবার দুপুরে ঘোষিত এনসিপির প্রার্থী তালিকায়ও রাখা হয়নি গণঅভ্যুত্থানের এই অগ্র সৈনিককে।

এর আগে সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এদিকে বিকেলে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব, এটা নিশ্চিত। তবে পদত্যাগের বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না। পদত্যাগের বিষয়ে পরবর্তী তথ্য জানা যাবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে। সেখান থেকেই এই বিষয়ে জানানো হবে।’

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন। এ সময় প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

এতে দুই উপদেষ্টার উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে যে অবদান রেখেছ তা জাতি মনে রাখবে। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিকাশে তোমরা একইভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।’