🔹 ডেস্ক রিপোর্টঃ

জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৩য় জালালাবাদ মেলা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও হাজারো মানুষের উপস্থিতি বাঙালিদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
রবিবার (২২ জুন) টরন্টোর ওকরিজ পার্কে সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে খাবার, কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্যের মোট ৭০টি স্টল ছিল।

এ সময় মেলায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কানাডার ট্রেজারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী শাফকাত আলী, এমপিপি ডলি বেগম, স্কারবরো সাউথ ওয়েস্টের সিটি কাউন্সিলর পার্থি কান্ডাভেলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় অতিথিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আয়োজকদের হাতে শুভেচ্ছাবার্তা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
বিকেলে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কানাডা প্রবাসী শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। রাতের পর্বে বাংলাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ তাঁর পরিবেশনায় উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় জালালাবাদ মেলার অন্যতম আকর্ষণ র্যাফেল ড্র, যার পরিচালনায় ছিলেন মনসুর আহমেদ। যাতে ১ম পুরস্কার ছিল একটি সার্টিফায়েড মের্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি। তবে, র্যাফেল ড্রয়ের ১ম পুরস্কার ঘোষণার স্বচ্ছতা ও বৈধতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি এবং পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ ফেস্টিভ্যালের টাইটেল স্পনসর ব্যারিস্টার আরিফ, “পাওয়ার্ড বাই স্পনসর মোর্শেদ নিজাম ও ব্যারিস্টার ওমর জাহিদ, গাড়ির স্পনসর ও টরন্টোর খ্যাতনামা রিয়েলটর এবাদ চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর সভাপতি মাহবুব চৌধুরী রনি, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি মারুফ, মেলার আহ্বায়ক ইলিয়াছ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ প্রমুখ।

এই ঐতিহ্যবাহী মেলা শুধু বিনোদনের নয়, বরং প্রবাসে বসবাসরত সিলেটিদের মধ্যে ঐক্য, সংস্কৃতি ও পরিচয় সংরক্ষণের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, একটি সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি কীভাবে দেশের সংস্কৃতি ও গৌরবকে বিশ্বের মাটিতে তুলে ধরতে পারে। ভবিষ্যতে এধরনের আরও আয়োজনের প্রত্যাশায় উপস্থিত সকলে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন হৃদয়ে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি নিয়ে।
