
অনলাইন ডেস্কঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করেই ছাত্রদল ভোট বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ আদিব। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আরিফ উল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক বিষয়। যে কোনো সময় পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদল গুজব ছড়াচ্ছে। আসলে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তারা ভোট বর্জন করেছে। আমরা চাই, নিয়মমাফিক ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ করা হোক।
আরিফ উল্লাহ দাবি করেন, দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণসহ দেখানো হয়েছে যে, ভোট গণনার মেশিন যেই প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে, সেটি বিএনপির এক নেতার মালিকানাধীন।
এদিকে শিবিরের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, কে ভোট বর্জন করবে, সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। তবে শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে যদি কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়, তাতে কিছু করার নেই। এ পর্যন্ত যতগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতেই ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এর আগে বিকেল চারটার কিছু আগে মাওলানা ভাসানী হলের গেস্টরুমে সংবাদ সম্মেলন করে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। পরবর্তীতে অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।
এদিন সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে সর্বমোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দিতে হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থিত প্যানেলও রয়েছে। ছাত্রদল থেকে ভিপি ও জিএস পদে লড়ছেন যথাক্রমে শেখ সাদী হাসান ও তানজিলা হোসেন বৈশাখী।
বাগছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি এবং মো. শাকিল আলীর জিএস পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে লড়বে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস মাজহারুল ইসলাম।
‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি লড়ছেন। এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আদালত।
ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।
