
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব হয়েছিল, তেমনি গত ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু ব্যক্তি ভুয়া সমন্বয়ক ও ভুয়া দুদক চেয়ারম্যান পরিচয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করেছে। আমরা এসব ভুয়া পরিচয়ধারীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
রোববার (১৮ মে) সকালে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের ১৭৫তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
দুদকের আয়োজনে ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন এবং জেলা দুপ্রক এর সহযোগিতায় গণশুনানী অনুষ্টানে দুদক কমিশনার আরও বলেন, আমাদের জনবল সীমিত, তবু আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জনবল বাড়ালে জনগণের ওপর ট্যাক্সের বোঝা বাড়বে এই বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তবে এটাও সত্য যে, আমাদের মাঝেও কিছু দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে সবার আগে ‘সরবরাহ পক্ষ’ বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধ হলে ‘চাহিদা পক্ষ’ আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ কমিশনার (অনুসন্ধান), দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম-সেবা।
গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগসমূহ মৌলভীবাজার জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরছেন। একই সাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধারণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই গণশুনানির মূল লক্ষ্য।